No products in the cart.
আশুরা কী?
আশুরা হচ্ছে মুহাররাম মাসের দশম দিবস, যা ইসলামী ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিন বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যেমন:
নবী মূসা (আ.) ও বনি ইসরাইল ফেরাউন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
এই দিনটি রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার শোকর আদায় করেছেন নবী মূসা (আ.)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দিনের রোজাকে উৎসাহিত করেছেন এবং বলেছেন, “আমি যদি পরবর্তী বছর বেঁচে থাকি, তবে ৯ ও ১০ মুহাররাম উভয় দিন রোজা রাখব।” (সহীহ মুসলিম)
আশুরায় করণীয়
রোজা রাখা (৯ ও ১০ মুহাররাম)
আশুরার দিনে রোজা রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত।
রাসূল (সা.) শুধু ১০ মুহাররামের রোজা না রেখে ৯ তারিখও যুক্ত করতে বলেছেন, যাতে ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের অনুকরণ না হয়।
তওবা ও ইবাদত বৃদ্ধি
এই দিনে বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, দোয়া, যিকির ও তওবা করা উচিত।
সাধারণভাবে সাদাকা করা ও ভালো কাজ করা
হতদরিদ্রদের সাহায্য করা, পরিবারের সদস্যদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা এই দিনে উৎসাহিত করা হয়েছে।
আশুরায় বর্জনীয়
বিদআতমূলক শোক পালন ও মাতম করা
কিছু শিয়া সম্প্রদায় আশুরাকে হযরত হোসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাত উপলক্ষে অতিরঞ্জিত শোক ও শারীরিক আঘাতের মাধ্যমে পালন করে—এটি ইসলামসম্মত নয়।
নতুন পোশাক পরা ও আনন্দ আয়োজন করা
কেউ কেউ এই দিনে বিশেষ খাবার, সাজসজ্জা ও উৎসব পালন করে থাকেন—এগুলো ইহুদি-নাসারাদের প্রভাব এবং বিদআত।
হাদীস পরিপন্থী রেওয়াজ পালন
যেমন, দুধ-সেমাই বিতরণ, আশুরার তাবু স্থাপন, আগুন প্রজ্বলন, গান-বাজনা ইত্যাদি পালন করা—এগুলো ইসলামে নিষিদ্ধ।
কোনো কল্পকাহিনী বা মিথ্যাচার প্রচার করা
যেমন, এই দিনে আদম (আ.)-এর সৃষ্টি, ইব্রাহিম (আ.)-এর অগ্নি থেকে মুক্তি, নূহ (আ.)-এর নৌকা অবতরণ ইত্যাদি—এসব হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
উপসংহার
আশুরা একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন, যার সঠিক মর্যাদা বুঝে পালন করাই হচ্ছে প্রকৃত ইসলামি পন্থা। রাসূলুল্লাহ (সা.) আশুরাকে শোক, মাতম বা আনন্দের উৎসবের দিন হিসেবে নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধির, রোজা ও তওবার দিন হিসেবে দেখেছেন।
সঠিক আমল করুন, বিদআত থেকে দূরে থাকুন।
উৎস: ইসলামহাউস প্রকাশিত বই “আশুরা: করণীয় ও বর্জনীয়”
PDF লিংক: ডাউনলোড করুন
